অনুপ খাতায় নিম্নের চিত্রটি অঙ্কন করলো :
চন্দন চিত্র দেখে বললো: তবে কি জাত্যর্থ কমলে ব্যক্তার্থ বাড়ে? অনুপ বললো: সঠিক বলেছো। চন্দন বললো: ব্যার্থ ও জাত্যর্থের হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি ভ্রান্ত ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
পদের ব্যার্থ ও জাত্যর্থের হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি হলো- কোনো পদের ব্যক্ত্যর্থ বাড়লে জাত্যর্থ কমে এবং ব্যক্ত্যর্থ কমলে জাত্যর্থ বাড়ে। অনুরূপভাবে বলতে পারি যে, পদের জাত্যর্থ বাড়লে ব্যক্ত্যর্থ কমে এবং জাত্যর্থ কমলে ব্যক্ত্যর্থ বাড়ে।
উদ্দীপকে চন্দন উক্ত নিয়মটিকে ভ্রান্ত ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত বলে মত দিয়েছেন। পদের ব্যার্থ জাত্যর্থের হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর সীমাবদ্ধতা আমরা লক্ষ করে থাকি। এটি একটি ভ্রান্ত ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত। একটি পদ সর্বদা নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যক্ত্যর্থকে নির্দেশ করে এবং সুনির্দিষ্ট জাত্যর্থ নির্দেশ করে। পদের বিপরীতে হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়মটি কোনো একক পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ পদের ব্যক্ত্যর্থ ও জাত্যর্থ কমিয়ে দিলে বা বাড়িয়ে দিলে সে পদ থাকে না। নতুন পদের সৃষ্টি হয়। পদের ব্যক্ত্যর্থ বৃদ্ধি করলেও জত্যর্থ অপরিবর্তিত থাকে। যেমন- একটি দ্বীপের আবিষ্কারের পর দ্বীপ পদের ব্যক্ত্যর্থ বেড়ে যায় কিন্তু জাত্যর্থ অপরিবর্তিত থাকে, কমে না। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদের জাত্যর্থ বেড়ে যায়, কিন্তু ব্যক্ত্যর্থ অপরিবর্তিত থাকে। যেমন- হীরার নতুন একটি গুণ আবিষ্কৃত হলেও এর ব্যক্ত্যর্থ অপরিবর্তিত থাকে। ব্যক্ত্যর্থ ও জাত্যর্থ পদের মধ্যকার হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি সর্বক্ষেত্রে সমানুপাতিক নয়। মানুষের জাত্যর্থের সাথে সভ্যতা যোগ করলে মানুষের সংখ্যা যে হারে কমে, অন্ধত্ব গুণটি যোগ করলে তুলনামূলক বেশি হারে কমে।
সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, চন্দন ব্যক্ত্যর্থ ও জাত্যর্থের হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি যে ভ্রান্ত ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত বলেছে তা যথার্থ-ই বলেছে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?