Academy

অনুপ খাতায় নিম্নের চিত্রটি অঙ্কন করলো :

চন্দন চিত্র দেখে বললো: তবে কি জাত্যর্থ কমলে ব্যক্তার্থ বাড়ে? অনুপ বললো: সঠিক বলেছো। চন্দন বললো: ব্যার্থ ও জাত্যর্থের হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি ভ্রান্ত ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত।

ব্যাক্ত্যর্থ এবং জাত্যর্থের হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি একটি ভ্রান্ত ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত? তুমি চন্দনের এই কথাটিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবে? (উচ্চতর দক্ষতা)

Created: 1 year ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago
Ans :

পদের ব্যার্থ ও জাত্যর্থের হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি হলো- কোনো পদের ব্যক্ত্যর্থ বাড়লে জাত্যর্থ কমে এবং ব্যক্ত্যর্থ কমলে জাত্যর্থ বাড়ে। অনুরূপভাবে বলতে পারি যে, পদের জাত্যর্থ বাড়লে ব্যক্ত্যর্থ কমে এবং জাত্যর্থ কমলে ব্যক্ত্যর্থ বাড়ে।

উদ্দীপকে চন্দন উক্ত নিয়মটিকে ভ্রান্ত ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত বলে মত দিয়েছেন। পদের ব্যার্থ জাত্যর্থের হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর সীমাবদ্ধতা আমরা লক্ষ করে থাকি। এটি একটি ভ্রান্ত ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত। একটি পদ সর্বদা নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যক্ত্যর্থকে নির্দেশ করে এবং সুনির্দিষ্ট জাত্যর্থ নির্দেশ করে। পদের বিপরীতে হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়মটি কোনো একক পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ পদের ব্যক্ত্যর্থ ও জাত্যর্থ কমিয়ে দিলে বা বাড়িয়ে দিলে সে পদ থাকে না। নতুন পদের সৃষ্টি হয়। পদের ব্যক্ত্যর্থ বৃদ্ধি করলেও জত্যর্থ অপরিবর্তিত থাকে। যেমন- একটি দ্বীপের আবিষ্কারের পর দ্বীপ পদের ব্যক্ত্যর্থ বেড়ে যায় কিন্তু জাত্যর্থ অপরিবর্তিত থাকে, কমে না। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদের জাত্যর্থ বেড়ে যায়, কিন্তু ব্যক্ত্যর্থ অপরিবর্তিত থাকে। যেমন- হীরার নতুন একটি গুণ আবিষ্কৃত হলেও এর ব্যক্ত্যর্থ অপরিবর্তিত থাকে। ব্যক্ত্যর্থ ও জাত্যর্থ পদের মধ্যকার হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি সর্বক্ষেত্রে সমানুপাতিক নয়। মানুষের জাত্যর্থের সাথে সভ্যতা যোগ করলে মানুষের সংখ্যা যে হারে কমে, অন্ধত্ব গুণটি যোগ করলে তুলনামূলক বেশি হারে কমে।

সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, চন্দন ব্যক্ত্যর্থ ও জাত্যর্থের হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি যে ভ্রান্ত ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত বলেছে তা যথার্থ-ই বলেছে।

1 year ago

যুক্তিবিদ্যা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

1 পদ কী? (জ্ঞানমূলক)

Created: 1 year ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago

পদ' হলো এক বা একাধিক শব্দের সমষ্টি যা যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য বা বিধেয়রূপে ব্যবহৃত হয়।

একটি যুক্তিবাক্যে সব সময় দুটি পদ থাকে, কিন্তু শব্দ থাকে দুই বা ততোধিক। যেমন- পানি হয় তরল। যুক্তিবাক্যে পানি ও তরল দুটি পদ। কিন্তু ভাসানী ছিলেন একজন বলিষ্ঠ দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ। বাক্যে ৬টি শব্দ আছে। যুক্তিবাক্যে পদ আছে দুই ধরনের, কিন্তু শব্দ আছে তিন ধরনের। সুতরাং ব্যাপকতার দিক থেকে শব্দ পদের চেয়ে বেশি ব্যাপ্য।

উদ্দীপকে ৩নং চিত্র ব্যাপ্যতার দিক থেকে E-যুক্তিবাক্যের প্রতিনিধিত্ব করছে। 'পদের ব্যাপ্যতা' বলতে পদের প্রসারতাকে বোঝায়। একটি পদ যখন কোনো যুক্তিবাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন পদটি দ্বারা যে পরিমাণ ব্যক্ত্যর্থ নির্দেশ করে তার দ্বারা সে পদের ব্যাপ্যতা বা ব্যাপ্তি নির্ণয় করা হয়। কোনো কোনো যুক্তিবাক্যে উদ্দেশ্য পদটি তার সমগ্র ব্যক্ত্যর্থকে প্রকাশ করে, আবার কোনো কোনো যুক্তিবাক্যে বিধেয় পদটি তার সমগ্র ব্যক্ত্যর্থ নির্দেশ করে। আবার কোনো পদ যখন আংশিক ব্যক্ত্যর্থ গ্রহণ করে তখন তাকে 'অব্যাপ্য পদ' বলে। 

E- যুক্তিবাক্য বলতে আমরা বুঝি যে যুক্তিবাক্যে উদ্দেশ্য পদের সমগ্র ব্যক্ত্যর্থকে বিধেয় পদ অস্বীকার করে। যেমন- কোনো মানুষ নয় অমর। একে সার্বিক নঞর্থক যুক্তিবাক্য বলে। উদ্দীপকের ৩নং চিত্রে যা বোঝানো হয়েছে তা হলো- একটি যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ উভয়-ই ব্যাপ্য। কারণ কালো দাগ বিশিষ্ট চিত্র দ্বারা ব্যাপ্যতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। আর E- যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদ ব্যাপ্য। E-যুক্তিবাক্য সার্বিক বলে এর পদটি পূর্ণ ব্যক্ত্যর্থ নিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং উদ্দেশ্যটি ব্যাপ্য। আবার E-যুক্তিবাক্যটি নঞর্থক বলে বিধেয় পদটিও পূর্ণ ব্যাক্ত্যর্থ প্রকাশ করে। এজন্য বিধেয় পদটিও ব্যাপ্য। যেমন- কোনো মানুষ নয় অমর। সুতরাং ৩নং চিত্র ব্যাপ্যতার দিক থেকে E- যুক্তিবাক্যের প্রতিনিধিত্ব করেছে।

চিত্রে কালো দাগ বিশিষ্ট অংশটি হলো ব্যাপ্য। সুতরাং ১নং চিত্রের একটি যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য এবং ২নং চিত্রে একটি যুক্তিবাক্যের বিধেয় পদ ব্যাপ্য হিসাবে প্রকাশ পেয়েছে। ব্যাপ্যতা হলো প্রসারতা। যখন কোনো পদ একটি যুক্তিবাক্যে ব্যবহৃত হয়, তখন পদটি দ্বারা যে পরিমাণ ব্যক্ত্যর্থ নির্দেশ করে, তার দ্বারা সে পদের ব্যাপ্তি নির্ণয় করা হয়। যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য পদটি ব্যাপ্য হতে পারে, আবার বিধেয় পদটি ব্যাপ্য হতে পারে।

উদ্দীপকের ১নং চিত্রে উদ্দেশ্যটি ব্যাপ্য, আর বিধেয় অব্যাপ্য হিসাবে প্রকাশ পেয়েছে। এই যুক্তিবাক্যকে A-যুক্তিবাক্য বলে। ২নং চিত্রে বিধেয়টি ব্যাপ্য এবং উদ্দেশ্যটি অব্যাপ্য হিসাবে প্রকাশ পেয়েছে। সুতরাং এটি একটি O-যুক্তিবাক্য।

A-যুক্তিবাক্য হলো সার্বিক সদর্থক। যে যুক্তিবাক্যের বিধেয় পদ উদ্দেশ্য পদের সমগ্রকে স্বীকার করে নেয় তাকে A-যুক্তিবাক্য বা সার্বিক সদর্থক যুক্তিবাক্য বলে। -যুক্তিবাক্য হলো বিশেষ নঞর্থক। যে যুক্তিবাক্যের বিধেয় উদ্দেশ্য পদের অংশিককে অস্বীকার করে তাকে -যুক্তিবাক্য বা বিশেষ নঞর্থক যুক্তিবাক্য বলে। যেমন- কিছু মানুষ নয় সাহসী। সুতরাং ১নং চিত্র ও ২নং চিত্রকে সম্পূর্ণ বিপরীত বলা যায়। কারণ ১নং চিত্রের যুক্তিবাক্যটি সার্বিক সদর্থক এবং ২নং চিত্রের যুক্তিবাক্যটি বিশেষ নঞর্থক। ১নং চিত্রে উদ্দেশ্য ব্যাপ্য এবং বিধেয় অব্যাপ্য। আর ২নং চিত্রে উদ্দেশ্য অব্যাপ্য এবং বিধেয় ব্যাপ্য হয়েছে। তাই ১নং চিত্র ও ২নং চিত্র বিপরীত।

5 শব্দ কাকে বলে ? (জ্ঞানমূলক)

Created: 1 year ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago

মানুষের চিন্তা, ইচ্ছা, অনুভব করার কথিত ধ্বনি বা লিখিত চিহ্নকে শব্দ বলে।

যুক্তিবিদ্যায় শব্দ প্রধানত তিন প্রকার। যথা- ১। পদযোগ্য শব্দ, ২। সহ-পদযোগ্য শব্দ, ৩। পদ-নিরপেক্ষ শব্দ।

এটি ছকের মাধ্যমে দেখানো হলো-

শব্দ

পদযোগ্য শব্দ

সহ-পদযোগ শব্দ

পদ-নিরপেক্ষ শব্দ

কোনো শব্দের সাহায্য ছাড়া যুক্তিবাক্যে ব্যবহৃত হয়। যথা- মানুষ, কলম

যে শব্দ অন্য পদের সাহায্য ছাড়া যুক্তিবাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না। যথা- গুলো, টা, টি।

যে শব্দ যুক্তিবাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না। যথা- হায়! বাহ!

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...